প্রচারঃ ১০ঃ০৫, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫
অনলাইন ডেস্কঃ
![]() |
মাকসুদুল হক |
তিনি বলে যেতে থাকেন - 'মেলায় যাইরে'র মতো কালজয়ী গান একবারই সৃষ্টি হয়, বারবার নয়। গানটি ৩৫ বছর ধরে শ্রোতাদের মনে গেঁথে আছে , এটা সত্যিই বিস্ময়। অনেকে আমাকে চেনেও না। নামও জানে না। এখন এমন হয় কেউ একজন জিজ্ঞাসা করছে 'মাকসুদ ও ঢাকা'কে রে ? তখন কেউ বলে, 'ওই যে মেলায় যাইরে গানটা যে গাইছে, সে-ই মাকসুদ।' গানটির রেকডিংয়ের অভিজ্ঞতার স্মৃতি হাতড়ে তিনি বলেন, 'আমরা গানটি করি ১৯৮৭ সালের শেষ দিকে। প্রথমত গানটি একবারে লিখতে পারিনি। সময় লেগেছিল দুই মাস। লেখার পর সাত - আটবার সংশোধন করেছি। এরপর সুর করেছি। রেকডিং একদিনে হয়নি। সময় লেগেছে। ব্যান্ডের সদস্যদের সঙ্গে আমাদের কথা কাটাকাটি কত কিছু যে হয়েছে।' গানের কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'গানে সেই চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছি, যা প্রতি বৈশাখে আমাদের চোখে পড়ে। অনেক শব্দের কাটিকুটি শেষে বেরিয়ে এসেছিল কিছু ছন্দোবদ্ধ কথা। গানটি গেয়েছি মনপ্রাণ উজাড় করে। সংগীত কোন কাজ নয়, এক ধরণের সাধনা। যারা গান করেন তারা ভালো করেই জানেন, প্রতিটি সৃষ্টির পিছনে কতটা শ্রম - ঘাম ঝরাতে হয়।
যাই হোক, গানটি রেকর্ড করার পর আমি, ফোয়াদ নাসের বাবু, পিয়ারু খান, লাবু রহমান, সেকেন্দার আহমেদ খোকা - প্রত্যেকেই অন্যরকম এক সৃষ্টির স্বাদ পেয়েছিলাম।' ছোটবেলা থেকেই ছায়ানটের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন মাকসুদ। তখন ঢাকায় ব্যাপক পরিসরে পয়লা বৈশাখ একমাত্র রমনা বটমূলেই হতো। গ্রাম গুলোতে সরগরম হলেও ঢাকায় বৈশাখী মেলা ছিল নিস্প্রাণ। তখনই তার মনে হলো বৈশাখী উৎসবে মানুষের ঢল নামাতে হবে। ' এই মেলার মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু বলতে পারব এমন ভাবনা থেকেই গানটি তৈরি করেছি। আমার বিশ্বাস, এ গানের মাধ্যমে মানুষের সব ইন্দ্রিয় ছুঁয়ে যেতে পেরেছি; এমন কি জাগাতে পেরেছি আবেগও। আমি বিশ্বাস করি,মানুষের আবেগ ও ইন্দ্রিয়কে জাগ্রত করতে পারলে একটি গানের পক্ষে দীর্ঘায়ু লাভ করা সম্ভব হয়ে ওঠে। এ কারণেই 'মেলা' এমন শক্তি হয়ে উঠতে পেরেছে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন